শাহেদ ছিলেন সময়ের শ্রেষ্ঠ প্রতারক
বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স-র্যাব বলছে, রিজেন্ট হাসপাতালের পলাতক মালিক শাহেদ করিম প্রতারক জগতের আইডল। নারী , বাড়ি গাড়ি কি না ছিল শাহেদের জীবনে ।
অবৈধ সম্পদের পাহাড় বানিয়ে জীবনকে উপভোগ করেছেন নিজের মতন করে,
ইতিমধ্যে নিউজ পোর্টাল গুলোতে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে । শাহেদ ইতিমধ্যেই বিদেশে অনেক টাকা পাচার করিয়েছেন । তবে শাহেদ বিদেশে কত টাকা সরিয়েছেন সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে একটি সূত্র বলছে, তাদের কাছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা পাচারের খবর আছে। ওই সূত্রটি র্যাবকে শাহেদ টাকা পাচার করেছেন এই তথ্য জানিয়ে ইমেইল করে। ওই ইমেইল সূত্রটি জানায়, মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম তাকে জানিয়েছিলেন তিনি বাংলাদেশে কোনো স্থায়ী সম্পদ রাখতে চান না। এজন্য ২০১২ সাল থেকেই শাহেদ অল্প অল্প করে বিদেশে টাকা পাচার করছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে পাচার করা অর্থের পরিমাণও বেড়ে যায়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, তারা টাকা পাচার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করবেন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে, এখনো টাকা পাচারের তথ্য তাদের কাছে নেই।
যে ব্যক্তি র্যাবকে টাকা পাচারের কথা জানিয়েছেন, তিনি বলেন, মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম টাকা পাচারের জন্য প্রথমেই ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেও কিছু টাকা পাঠান। ভারতে তিনি আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ কিনেছেন।
তিনি যতটুকু জানেন, সাহেদ আধার কার্ড (পরিচয়পত্র) তৈরির চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিনিয়োগকারী কোটায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশে টাকা পাচার করছিলেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের একটা সুযোগ খুঁজছিলেন।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, শাহেদ তাকে বলেছিলেন তার আয়ের উৎস তদবির। তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তদবির করতেন।
সূত্রটি বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভালো মতো খোঁজখবর করে তাহলে টাকা পাচারের বিষয়টি খুঁজে পাবে।
রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুলাই অভিযান চালায় র্যাব। এর পর থেকেই শাহেদের নানা প্রতারণার খবর আসতে শুরু করে। তবে এত টাকা তিনি কোথায় রেখেছেন সে খবর এখনো অজানা।
এদিকে ডিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শাহেদের সম্পদের ব্যাপারে ঠিকঠাক খোঁজখবর না পেলেও, জেকেজি করোনা ভাইরাস শনাক্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর টাকা পাচার করেছে।
ওই সূত্রটি বলেছে, এখন পর্যন্ত আরিফুল হক অন্তত দুই কোটি টাকা পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে তার বোনের কাছে টাকাটা পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়ের প্রমাণ হাতে পেয়েছে পুলিশ।
টেস্ট না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৭ জুলাই সিলগালা করে দেয়া হয়েছে ঢাকার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।
এরপর ফেসবুকে অনেকে মো: শাহেদের বহু ছবি শেয়ার করেছে যেখানে তাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা গেছে।
র্যাব-এর তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস টেস্ট করারা জন্য রিজেন্ট হাসপাতাল প্রায় ১০ হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
কিন্তু সেগুলো পরীক্ষা না করেই রোগীদের ভুয়া ফলাফল দেয়া হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, ৪৫০০ ভুয়া টেস্টের কাগজপত্র তাদের হাতে এসেছে।
র্যাব বলছে, টেস্টের ভুয়া ফলাফল তৈরি করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের কম্পিউটার সিস্টেমে।
প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার অপারেটরদের দ্বারা ভুয়া ফলাফল তৈরি করতে বাধ্য করেছে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, তারা টাকা পাচার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করবেন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে, এখনো টাকা পাচারের তথ্য তাদের কাছে নেই।
যে ব্যক্তি র্যাবকে টাকা পাচারের কথা জানিয়েছেন, তিনি বলেন, মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম টাকা পাচারের জন্য প্রথমেই ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেও কিছু টাকা পাঠান। ভারতে তিনি আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ কিনেছেন।
তিনি যতটুকু জানেন, সাহেদ আধার কার্ড (পরিচয়পত্র) তৈরির চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিনিয়োগকারী কোটায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশে টাকা পাচার করছিলেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের একটা সুযোগ খুঁজছিলেন।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, শাহেদ তাকে বলেছিলেন তার আয়ের উৎস তদবির। তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তদবির করতেন।
সূত্রটি বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভালো মতো খোঁজখবর করে তাহলে টাকা পাচারের বিষয়টি খুঁজে পাবে।
রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুলাই অভিযান চালায় র্যাব। এর পর থেকেই শাহেদের নানা প্রতারণার খবর আসতে শুরু করে। তবে এত টাকা তিনি কোথায় রেখেছেন সে খবর এখনো অজানা।
এদিকে ডিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শাহেদের সম্পদের ব্যাপারে ঠিকঠাক খোঁজখবর না পেলেও, জেকেজি করোনা ভাইরাস শনাক্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর টাকা পাচার করেছে।
ওই সূত্রটি বলেছে, এখন পর্যন্ত আরিফুল হক অন্তত দুই কোটি টাকা পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে তার বোনের কাছে টাকাটা পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়ের প্রমাণ হাতে পেয়েছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই